খ) অন্বাচয়- প্রধান বিষয়ের সঙ্গে আনুষঙ্গিক বিষয়ের যে একাত্ম সূচক অন্বয়, তাকে অন্বাচয় বলে-'অন্যতরস্য আনুষঙ্গিকত্বে অন্বাচয়ঃ।' যথা- 'ভিক্ষাম্ অট গাং চ আনয়' অর্থাৎ ভিক্ষায় যাও, পথে গুরুটি দেখতে পেলে আন।
গ) ইতরেতরযোগ- পরস্পর সম্বন্ধযুক্ত একাধিক সুবন্ত পদ একই ক্রিয়ার সঙ্গে যুগপৎ অন্বিত হলে এবং প্রত্যেক পদে পৃথক্ প্রাধান্য থাকলে ইতরেতর যোগ হয়। 'মিলিতানামন্বয়ে ইতরেতরযোগঃ।' যথা-রামশ্চ লক্ষ্মণশ্চ গচ্ছতি।
ঘ) সমাহার- সমস্যমান পদগুলি পরস্পর সাহিত্য বোঝালে তাদের সমূহ কে সমাহার বলে। 'সমূহঃ সমাহারঃ।' যথা-অহয়শ্চ নকুলাশ্চ-অহিনকুলম্। সূত্র-"যেষাঞ্চ বিরোধঃ শাশ্বতিকঃ।"
- এদের মধ্যে কোন্ কোন্ অংশ সমাসে প্রযুক্ত হয় এবং কেন?
এই চারটি চার্থের মধ্যে সমুচ্চয় ও অন্বাচয় অর্থ সমাসের উপযোগী নয়। 'ঈশ্বরং গুরুঞ্চ ভজস্ব'-এই বাক্যে একটি মাত্র 'চ'-শব্দ থাকায় 'ঈশ্বরং ভজস্ব' বললে 'গুরুঞ্চ'-এই অংশের জন্য আর আকাঙ্ক্ষা থাকে না বলে অসামর্থ্যহেতু ঈশ্বর ও গুরু শব্দের সমাস হল না।
অপরদিকে, একটি অপরটির আনুষঙ্গিক হলেও উভয়-ই দেবদত্তের সঙ্গে অন্বিত, কিন্তু 'ভিক্ষাম্ অট' বলবার পর অবশিষ্ট অংশের জন্য 'গাং চ আনয়' আর কোনো আকাঙ্ক্ষা থাকে না বলে, এখানেও সমাস হতে পারে না। কিন্তু ইতরেতর এবং সমাহারে পরস্পর সাহিত্যরূপ সম্বন্ধ থাকায় সমাস হয়, আর সমুচ্চয় ও অন্বাচয়ে এরূপ কোনো সম্বন্ধ থাকে না বলে ঐ দুটি চার্থে সমাস হয় না। সেজন্য 'প্রয়োগরত্নমালা'য় সূত্রিত হয়েছে-'সমুচ্চয়ান্বাচয়য়োর্দ্বন্দ্বো নাস্তি।'
- दोषपरिहारविचारप्रदर्शनी : https://youtu.be/Js8NE8f9LwA
- ইতরেতর-যোগদ্বন্দ্ব ও সমাহারদ্বন্দ্বের মধ্যে পার্থক্যঃ-
'দ্বৌ ভেদাবস্য শাস্ত্রোক্তৌ সমাহারেতরেতরৌ।
একান্যবচনাকাঙ্ক্ষাহীনোপাদানতশ্চ তৌ।।'
সমাহার ও ইতরেতর ভেদ নিয়ে ভর্তৃহরি তাঁর বাক্যপদীয় গ্রন্থেে বলেছেন-
'ইতরেতরযোগস্তু ভিন্নসঙ্ঘাভিধায়িনাম্।
প্রত্যেকঞ্চ সমূহোঽসৌ সমূহিষু সমাপ্যতে।।' (3-14-30)
২. ইতরেতর যোগদ্বন্দ্ব সমাসে পরপদের লিঙ্গ অনুসারে সমাসবদ্ধ পদের লিঙ্গ নির্ধারিত হয়। "পরবল্লিঙ্গং দ্বন্দ্বতৎপুরুষয়োঃ।"
কিন্তু সমাহার দ্বন্দ্ব সমাসে সমাসবদ্ধ পদ সর্বদা ক্লীবলিঙ্গ হয়। সূত্র-"স নপুংসকম্।"
৩. ইতরেতর যোগদ্বন্দ্ব বিকল্পে সমাহার দ্বন্দ্ব হয়ে যায়-'সর্বো দ্বন্দ্বো বিভাষয়ৈকবদ্ ভবতি।' যথা-বধূশ্চ বরশ্চ-'বধূবরৌ', আবার 'বধূবরম্' ও হয়ে থাকে।
________________
Khub valo
ReplyDelete