Thursday, April 9, 2020

पाठः - सापेक्षत्वेऽपि गमकत्वात् समासः

व्यपेक्षायां सत्यां पदानां पदयोः वा भवति समासः, नान्यत्र। ननु 'देवदत्तस्य गुरुकुलम्' इत्यत्र कथं समासः, देवदत्तस्य गुरुशब्देन सम्बन्धत्वात्। अपि च, 'पदार्थः पदार्थेन अन्वेति , न तु पदार्थैकदेशेन' इति न्यायेन गुरौ कुलविशेषणे देवदत्तविशेषणं नान्वेति, विशिष्टस्य गुरुकुलमित्यस्य एकपदार्थतया गुरोः पदार्थैकदेशत्वात्। अत्रोत्तरं दीयते- उपसर्जनस्य नित्यसापेक्षत्वादत्र समासः। यद्वा गुरुवद्देवदत्तोऽपि विशेष्ये प्रधाने कुल एवान्वेति। तत्र गुरुणा कुलस्य उत्पाद्यत्वसम्बन्धेनान्वयः। देवदत्तेन तु कुलस्य तदीयगुरूत्पाद्यतयाऽन्वयो गुरुगर्भः। अस्मिन् विषये मानं हि- 'सापेक्षत्वेपि गमकत्वात् समासः' इति सिद्धान्तः। अर्थात् वृत्तिबहिर्भूतस्य पदस्य सापेक्षतायां सत्यां वाक्यस्य अर्थावबोधकत्वात् नैवात्र समासत्वहानिः। उक्तं च हरिणा--
"सम्बन्धिशब्दः सापेक्षो नित्यं सर्वः समस्यते।
         वाक्यवत्सा व्यपेक्षा हि वृत्तावपि न हीयते।।" इति।

अत्रोल्लेख्यं यद् अयं समासो नैव सार्वत्रिकः। केवलं प्रतियोगिपदे कारकपदे च सम्बन्धो नित्यः। एवंविधस्थले वृत्तिस्थपदेनापि प्रतियोगिनः, कारकपदस्य च अन्वयः निर्बाधः। 'देवदत्तस्य गुरुकुलम्' इत्यत्र गुरोः प्रतियोगिपदं 'देवदत्तः'। अतएव सम्बन्धस्य नित्यत्वात् समासोऽपि निर्बाधः। तथैव 'वाणेन भिन्नहृदयः' इत्यत्र कारकपदेन भिन्नशब्दस्य सम्बन्धो निर्बाधः, तस्मात् समासोऽपि निर्बाधः। तथा चोक्तं हरिणा--
"प्रतियोगिपदादन्यद् यदन्यत् कारकादपि।
           वृत्तिशब्दैकदेशस्य सम्बन्धस्तेन नेष्यते।।"  इति।

Sunday, April 5, 2020

পাঠ- সমর্থঃ পদবিধিঃ (২-১-১)

"সমর্থঃ পদবিধিঃ" (২-১-১) সূত্রটি পরিভাষা সূত্র বলে পরিগণিত। সূত্রস্থ 'পদবিধিঃ' শব্দের অর্থ প্রসঙ্গে দীক্ষিত বলেছেন-'পদসম্বন্ধী যো বিধিঃ..' অর্থাৎ পদ বা পদসমূহকে অবলম্বন করে ব্যাকরণের যে সকল বিধি প্রযুক্ত হয় তাকে 'পদবিধি' বলে। বস্তুতঃ 'পদবিধি' হল 'বৃত্তি'। সমাসের ক্ষেত্রে 'পদবিধি' বলতে দুই বা বহুপদসংক্রান্ত বিধিকেই বোঝায়।

সূত্রস্থ 'সমর্থঃ' পদটি 'লাক্ষণিক' অর্থে গৃহীত বলে ব্যাখ্যাকারগণ স্বীকার করেছেন। 'লাক্ষণিক' অর্থ হল-সমর্থাশ্রিত বা সামর্থ্য।

সমাসপ্রকরণে এই সামর্থ্য দুই প্রকার-১) ব্যপেক্ষালক্ষণ সামর্থ্য। 
  
২) একার্থীভাবলক্ষণ সামর্থ্য।

১) ব্যপেক্ষালক্ষণ সামর্থ্যঃ- বিশিষ্টা অপেক্ষা ব্যপেক্ষা। নিজ নিজ অর্থবোধে পরিসমাপ্ত একাধিক পদের আকাঙ্ক্ষা(পরস্পর নির্ভরতা), যোগ্যতা(পরস্পর সম্বন্ধবোধে বাধাহীনতা) এবং আসত্তি (নৈকট্য) -বশতঃ যে সম্বন্ধ ঘটে থাকে, তাকে ব্যপেক্ষালক্ষণ সামর্থ্য বলে।
যেমন-'রাজ্ঞঃ পুরুষঃ'-এখানে 'রাজ্ঞঃ'- এই ষষ্ঠ্যন্ত পদের সঙ্গে 'পুরুষঃ'-এই প্রথমান্ত পদটি স্ব-স্বামী (প্রভু-ভৃত্য) ভাব সম্বন্ধযুক্ত। 'রাজ্ঞঃ' বললেই আকাঙ্ক্ষা জাগে 'রাজার কী?' উত্তর- পুরুষ বা কর্মচারী। ঐ বাক্যে 'পুরুষঃ'-এই দ্বিতীয় পদটি উচ্চারিত হওয়া মাত্র পুনরায় আকাঙ্ক্ষা জাগে 'কর্মচারী কার?' উত্তর- রাজার, আর কারও নয়।

২) একার্থীভাবলক্ষণ সামর্থ্য ঃ- দ্বিতীয়প্রকার সামর্থ্য হল 'রাজপুরুষঃ' প্রভৃতি সমাসবদ্ধ পদ। 'রাজ্ঞঃ পুরুষঃ' ইত্যাদি বিগ্রহবাক্যে যে পদগুলি পরস্পর পৃথক্ অর্থে প্রযুক্ত ছিল তারাই বর্তমানে একার্থীভাবে পরিণত হয়ে সম্মিলিত অর্থ প্রকাশ করল। অত এব 'একার্থীভাব' বলতে সেই শক্তিকেই বোঝায় যার দ্বারা ব্যপেক্ষাসম্বন্ধযুক্ত পদসমূহ মিলিত হয়ে একটি বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে। 'রাজ্ঞঃ' ও 'পুরুষঃ' ভিন্ন বিভক্তিযুক্ত এই দুটি পদের পৃথগর্থ আর রহিল না। হরিকারিকায় বলা হয়েছে-
"বহূনাং বৃত্তিধর্মাণাং বচনৈরেব সাধনে।
স্যান্মহদ্-গৌরবং তস্মাদেকার্থীভাব আস্থিতঃ।।"
অর্থাৎ সমাসাদি বৃত্তির দ্বারা সাধক অর্থে সমগ্ররূপে বাক্যে প্রকাশ করতে গেলে গৌরব ঘটে অর্থাৎ অনেক কথা বলতে হয়।  সেজন্যই একার্থীভাবের আশ্রয় নেওয়া হয়।

Saturday, April 4, 2020

পাঠ- উপপদতৎপুরুষসমাস

উপপদতৎপুরুষবিষয়ক ভগবান্ পাণিনির বিশেষ সূত্রটি হল- "উপপদমতিঙ্"(২-২-১৯)। সূত্রে 'উপপদম্' 'অতিঙ্' -এই দুটি পদ আছে। 'উপপদম্' শব্দটি 'পদস্য সমীপম্'- এই বিগ্রহে "অব্যয়ং বিঙক্তি....." (২-১-৬) এই সূত্রানুসারে অব্যয়ীভাবসমাসনিষ্পন্ন প্রথমান্ত। 'অতিঙ্' শব্দটি 'ন তিঙ্'-এই বিগ্রহে "নঞ্" (২-২-৬) এই সূত্রানুসারে নঞ্তৎপুরুষসমাসনিষ্পন্ন প্রথমান্ত। "সমর্থঃ পদবিধিঃ"(২-১-১)- এই পরিভাষা সূত্র থেকে 'সমর্থ' পদটি আলোচ্য সূত্রে অনুবৃত্ত হয়। দীক্ষিত বৃত্তিতে বলেছেন-"উপপদং সুবন্তং সমর্থেন নিত্যং সমস্যতে, অতিঙন্তশ্চায়ং সমাসঃ।" অর্থাৎ সুবন্ত উপপদের সমর্থ পদের সহিত নিত্য সমাস হয়। পরন্তু এই সমাস তিঙন্তের সহিত হয় না। উদাহরণ যথা-'কুম্ভং করোতি' -এই তাৎপর্যবোধকবাক্যে কৃদন্ত 'কার' এই প্রাতিপদিকের সহিত 'কুম্ভ' এই উপপদের সমাসে 'কুম্ভকার' শব্দ নিষ্পন্ন হয়।  উপপদ কী? এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়- উপপদবিষয়ক পাণিনির সূত্রটি হল-"তত্রোপপদং সপ্তমীস্থম্"(৩-১-৯২)। এই সূত্রের বৃত্তিতে ভট্টোজিদীক্ষিত বলেছেন- "সপ্তম্যন্তে পদে কর্মণি ইত্যাদৌ (৩-২-১) বাচ্যত্বেন স্থিতং কুম্ভাদি। তদ্বাচকং পদমুপপদসংজ্ঞং স্যাৎ। তস্মিংশ্চ সত্যেব বক্ষ্যমাণঃ প্রত্যয়ঃ স্যাৎ।"  অর্থাৎ ধাতুপ্রত্যয়প্রকরণে ("ধাতোঃ" ৩-১-৯১, ধাত্বধিকারে) অথবা ধাতুপ্রত্যয়বিধায়কসূত্রে সপ্তমীনির্দিষ্ট পদকে উপপদ বলে। যথা "কর্মণ্যণ্" (৩-২-১) সূত্রে সপ্তম্যন্ত 'কর্মণি' পদদ্বারা 'কুম্ভং করোতি' উদাহরণে কর্মকারক 'কুম্ভম্' সূচিত হয়,অতএব 'কুম্ভং করোতি' -এই বাক্যে 'কুম্ভম্' উপপদ। এই 'উপপদ' পূর্বে যুক্ত না হইলে অণ্ প্রত্যয় হয় না।

"উপপদমতিঙ্"(২-২-১৯) সূত্রে 'অতিঙ্' গ্রহণদ্বারা তিঙন্তের সহিত উপপদের সমাস নিষিদ্ধ হয়েছে।  সুতরাং 'মা ভবান্ ভূৎ' এই বাক্যে 'মাঙ্'-এর তিঙন্ত 'ভূৎ' পদের সহিত সমাস হয় নি। উক্তস্থলে "মাঙি লুঙ্" (৩-৩-১৭৫) সূত্রে 'মাঙি' সপ্তম্যন্তপদস্থ হওয়ায় "তত্রোপপদং সপ্তমীস্থম্" (৩-১-৯২) সূত্র দ্বারা 'মা'-এর উপপদসংজ্ঞা হয়। সেই সুবন্ত উপপদের 'মা'-এর তিঙন্তপদ 'ভূৎ' ইহার সহিত সমাস হয় না। সূত্রে 'অতিঙ্' না বলা থাকিলে 'মা'-এর তিঙন্ত 'ভূৎ' ইহার সহিত সমাস হইয়া অনিষ্টরূপ সিদ্ধ হইত। এছাড়াও 'অতিঙ্' গ্রহণ দ্বারা জ্ঞাপিত হয় যে , "সহ সুপা" (২-১-৪) সূত্র হইতে 'সুপা' পদটিও এই সূত্রে অনুবৃত্ত হইবে না। ফলতঃ সুবন্তের সহিতও উপপদের সমাস নিষিদ্ধ। সুবন্তের সহিত সমাস নিষেধের জন্যই সূত্রে 'অতিঙ্' পদ গৃহীত হইয়াছে।  অতএব সিদ্ধান্ত হইল যে, সুবন্ত উপপদের তিঙন্ত ও সুবন্ত ভিন্ন সমর্থের সহিত সমাস হয়।

এখন প্রশ্ন হল, তবে কাহার সহিত উপপদতৎপুরুষসমাস বিধেয়? এতদুত্তরে ভট্টোজিদীক্ষিত বলেছেন--"গতিকারকোপপদানাং কৃদ্ভিঃ সহ সমাসবচনং প্রাক্ সুব্যুৎপত্তেঃ।"  অর্থাৎ গতিতৎপুুরুষ, কারক এবং উপপদের কৃদন্তের (প্রাতিপদিকের) সহিত সমাস সুপ্ বিভক্তি আসিবার পূর্বেই নিষ্পন্ন হয়। সুতরাং উপপদতৎপুরুষসমাসটি সমর্থ উপপদ এবং কৃদন্ত প্রাতিপদিকের সহিত গঠিত হয়। যথা, 'কুম্ভং করোতি যঃ সঃ'- এই বাক্যে "কর্মণ্যণ্" এই সূত্র বলে কর্মকারকস্থ 'কুম্ভ' উপপদে কৃ-ধাতুর উত্তর অণ্ হওয়ায় 'কুম্ভ অস্ কার' ('কারঃ' নয়)-এইরূপ অলৌকিক বিগ্রহবাক্যে 'কুম্ভকার' এইরূপ উপপদ সমাস এবং পরে বিভক্তিযোগে 'কুম্ভকারঃ' হয়।



সহায়ক গ্রন্থসমূহ--
ডঃবিশ্বরঞ্জনবেদব্যাকরণতীর্থ-সম্পাদিত বৈয়াকরণসিদ্ধান্তকৌমুদী।
ডঃসচ্চিদানন্দমুখোপাধ্যায়-সম্পাদিত বৈয়াকরণসিদ্ধান্তকৌমুদী (সমাসপ্রকরণ)।
লাহিড়ী-শাস্ত্রি-সম্পাদিত পাণিনীয়ম্।